23এবং তাঁদের হাতে এই রকম লিখে পাঠালেন আন্তিয়খিয়া, সুরিয়া ও কিলিকিয়াবাসী অযিহূদীয় ভাই সকলের কাছে প্রেরিতদের ও প্রাচীনদের, ভাইদের মঙ্গলবাদ।
24আমরা শুনতে পেয়েছি যে, আমরা যাদের কোনোও ত্বকছেদ আজ্ঞা দেইনি, সেই কয়েক জন লোক আমাদের ভেতর থেকে গিয়ে কথার মাধ্যমে তোমাদের প্রাণ চঞ্চল করে তোমাদের চিন্তিত করে তুলেছে।
25এই জন্য আমরা একমত হয়ে কিছু লোককে মনোনীত করেছি এবং আমাদের প্রিয় যে বার্ণবা ও পৌল,
26আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামের জন্য মনে প্রাণে চেষ্টা করেছেন, তাদের সঙ্গে ওদের তোমাদের কাছে পাঠাতে উপযুক্ত মনে করলাম।
27অতএব যিহূদা ও সীলকেও পাঠিয়ে দিলাম এরাও তোমাদের সেই সকল বিষয় বলবেন।
28কারণ পবিত্র আত্মার এবং আমাদের এটাই ভালো বলে মনে হলো, যেন এই কয়েকটা প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া তোমাদের ওপর কোনো ভার না দিই,
29ফলে প্রতিমার প্রসাদ এবং রক্ত ও গলাটিপে মারা প্রাণীর মাংস ও ব্যভিচার হতে দূরে থাকা তোমাদের উচিত; এই সব থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখলে তোমাদের মঙ্গল হবে। তোমাদের মঙ্গল হোক।
30সুতরাং তারা, বিদায় নিয়ে আন্তিয়খিয়ায় এলেন এবং লোক গুলোকে একত্র করে পত্র খানি দিলেন।
31পড়ার পর তারা সেই আশ্বাসের কথায় আনন্দিত হলো।
32আর যিহূদা এবং সীল নিজেরাও ভাববাদী ছিলেন বলে, অনেক কথা দিয়ে ভাইদের আশ্বাস দিলেন ও শান্ত করলেন।
33কিছুদিন সেখানে থাকার পর, যাঁরা তাঁদেরকে পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে ফিরে যাবার জন্য তাঁরা ভাইদের কাছ থেকে শান্তিতে বিদায় নিলেন।
34যীশু তাঁহাদিগকে বললেন, তোমাদের কাছে কয়খানা রুটী আছে? তাঁহারা কহিলেন, সাতখানা, আর কয়েকটি ছোট মাছ।
35কিন্তু পৌল ও বার্ণবা আন্তিয়খিয়াতে অন্যান্য অনেক লোকের সঙ্গে থাকলেন, যেখানে তাঁরা প্রভুর বাক্য শিক্ষা দিতেন এবং সুসমাচার প্রচার করতেন।
36কিছুদিন পর পৌল বার্ণবাকে বললেন, চল আমরা যে সব শহরে প্রভুর বাক্য প্রচার করেছিলাম, সেই সব শহরে ফিরে গিয়ে ভাইদেরকে পরিচর্য্যা করি এবং দেখি তারা কেমন আছে।
37আর বার্ণবা চাইলেন, যোহন, যাহাকে মার্ক বলে তাঁকেও সঙ্গে নিয়ে যাবেন।