Text copied!
CopyCompare
ইন্ডিয়ান রিভাইজড ভার্সন (IRV) - বেঙ্গলী - গীতসংহিতা - গীতসংহিতা 119

গীতসংহিতা 119:67-139

Help us?
Click on verse(s) to share them!
67দুঃখ পাওয়ার আগে আমি ভ্রান্ত ছিলাম, কিন্তু এখন আমি তোমার বাক্য পালন করছি।
68তুমি মঙ্গলময় এবং তুমি সেই যিনি মঙ্গল কাজ করেন, তোমার বিধি আমাকে শেখাও।
69অহঙ্কারীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলেছে, কিন্তু আমি সমস্ত হৃদয় দিয়ে তোমার নির্দেশ পালন করেছি।
70তাদের হৃদয়ে সত্যতা নেই; কিন্তু আমি তোমার ব্যবস্থায় আনন্দ করি।
71এটা আমার জন্য ভাল যে আমি দুঃখ ভোগ করেছি, যেন আমি তোমার বিধি শিখতে পারি।
72হাজার হাজার সোনা ও রূপার চেয়ে তোমার মুখের নির্দেশ আমার জন্য মহা মূল্যবান।
73ইয়োদ। তোমার হাত আমার গঠন ও স্থাপন করছে; আমাকে বুদ্ধি দাও, যেন আমি তোমার আদেশ সকল শিখতে পারি।
74যারা তোমাকে সম্মান করে, তারা আমাকে দেখে গর্বিত হবে, কারণ আমি তোমরা বাক্যে আশা পাই।
75হে সদাপ্রভুু, আমি জানি তোমার আদেশ ন্যায্য এবং তুমি বিশ্বস্ততায় আমাকে দুঃখ দিয়েছ।
76তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা আমায় সান্ত্বনা দিক, যেমন তুমি তোমার দাসকে প্রতিজ্ঞা করেছ।
77আমার প্রতি করুণা কর, যেন আমি বাঁচি; কারণ তোমার ব্যবস্থা আমার আনন্দদায়ক।
78অহঙ্কারীদের লজ্জায় ফেলা হোক, কারণ তারা আমার নিন্দা করেছে; কিন্তু আমি তোমার নির্দেশগুলোয় ধ্যান করব।
79যারা তোমাকে সম্মান করে, তারা আমার দিকে ফিরুক, তারা যারা তোমার নিয়মের আদেশ জানে তারা ফিরুক।
80আমার হৃদয় তোমার বিধিতে নির্দোষ হোক, যেন আমি লজ্জায় না পড়ি।
81কফ। আমি তোমার পরিত্রানের আকাঙ্খা করি, আমি তোমার বাক্যে আমার আশা রেখেছি।
82আমার চোখ তোমার প্রতিজ্ঞা দেখার আকাঙ্খা করে; কখন তুমি আমাকে সান্ত্বনা করবে?
83কারণ আমি ধোঁয়ায় ভরা দ্রাক্ষার থলির মত হয়েছি; আমি তোমার বিধি ভুলে যাই নি।
84কত দিন তোমার দাস এসব সহ্য করবে? কবে তুমি আমার তাড়নাকারীদের বিচার করবে?
85অহঙ্কারীরা আমার জন্য গর্ত খুঁড়েছে, তারা তোমার ব্যবস্থার নিন্দা করে।
86তোমার সমস্ত আদেশ বিশ্বসনীয়; যে সমস্ত লোক আমাকে অন্যায়ভাবে অত্যাচার করে; আমায় সাহায্য কর।
87তারা পৃথিবীতে আমাকে প্রায় শেষ করে ফেলেছিল, কিন্তু আমি তোমার নির্দেশগুলো ত্যাগ করিনি।
88যেমন তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমাকে জীবিত রাখো, যাতে আমি তোমার নিয়মের আদেশ পালন করতে পারি যা তুমি বলেছ।
89লামদ। হে সদাপ্রভুু, তোমার বাক্য অনন্তকাল স্থায়ী, তোমার বাক্য স্বর্গে দৃঢ় ভাবে স্থাপিত।
90তোমার বিশ্বস্ততা পুরুষে পুরুষে স্থায়ী; তুমি পৃথিবীকে স্থাপন করেছ এবং তা স্থির থাকে।
91সমস্ত কিছুই আজ পর্যন্ত স্থির রয়েছে, যেমন তুমি বলেছ তোমার ন্যায় বিধানে, কারণ সমস্ত কিছুই তোমার দাস।
92যদি তোমার ব্যবস্থা আমার আনন্দদায়ক না হত, তবে আমি আপন দুঃখে ধ্বংস হতাম।
93আমি তোমার নির্দেশগুলো কখনও ভুলে যাব না, কারণ তার দ্বারাই তুমি আমাকে জীবিত রেখেছ।
94আমি তোমারই, আমাকে রক্ষা কর; কারণ আমি তোমার নির্দেশগুলো অন্বেষণ করি।
95পাপীরা আমাকে ধ্বংস করার জন্য প্রস্তুত; কিন্তু আমি তোমার নিয়মের আদেশ বোঝার চেষ্টা করব।
96আমি দেখেছি যে সমস্ত কিছুরই সীমা আছে; কিন্তু তোমার আদেশ এটি মহান, অপরিসীম।
97মেম। আহা, আমি তোমার ব্যবস্থা কেমন ভালবাসি। এটা সমস্ত দিন আমার ধ্যানের বিষয়।
98তোমার আদেশ আমাকে শত্রুর থেকেও জ্ঞানবান করে; কারণ তোমার আদেশ চিরকাল আমার সঙ্গে আছে।
99আমার বেশি বুদ্ধি আমার সমস্ত গুরুর থেকে, কারণ আমি তোমার নিয়মের আদেশের ধ্যান করি।
100প্রাচীন লোকদের থেকেও আমি বেশি বুদ্ধিমান, তার কারণ আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করেছি।
101আমি সমস্ত কুপথ থেকে আমার পা দূরে রেখেছি, যেন আমি তোমার বাক্য পালন করি।
102আমি তোমার ন্যায় বিধান থেকে ফিরি নি, কারণ তুমিই আমাকে নির্দেশ দিয়েছ।
103তোমার বাক্য সকল আমার মুখে কেমন মিষ্ট লাগে! তা আমার মুখে মধুর থেকে মিষ্টি।
104তোমার নির্দেশগুলোর দ্বারাই আমার বুদ্ধি লাভ হয়। সেইজন্য আমি সমস্ত মিথ্যা পথ ঘৃণা করি।
105নুন। তোমার বাক্য আমার চরনের প্রদীপ, আমার পথের আলো।
106আমি শপথ করেছি এবং স্থির করেছি, যে আমি তোমার বিধি পালন করব।
107হে সদাপ্রভুু, আমি খুব দুঃখার্ত্ত; তোমার বাক্যের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমাকে জীবিত রেখ।
108সদাপ্রভুু, দয়া করে আমার মুখের স্বেচ্ছা দত্ত উপহার সকল গ্রহণ কর এবং তোমার ন্যায় বিধান আমাকে শেখাও।
109আমার প্রাণ সবদিন বিপদে থাকে, তবুও আমি তোমার ব্যবস্থা ভুলে যাই নি।
110পাপীরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে, কিন্তু আমি তোমার নির্দেশ থেকে দূরে সরে যাই নি।
111আমি তোমার নিয়মের আদেশ আমার দাবি বলে অধিকার করেছি, কারণ সেগুলো আমার হৃদয়ের আনন্দ।
112আমার হৃদয় তোমার বিধি মেনে চলতে স্থির হয়েছে, চিরকালের জন্য, শেষ পর্যন্ত।
113সামক। আমি দ্বিমনা লোকেদের ঘৃণা করি, কিন্তু তোমার ব্যবস্থা ভালবাসি।
114তুমি আমার লুকানোর জায়গা ও আমার ঢাল; আমি তোমার বাক্যের জন্য অপেক্ষা করি।
115মন্দ কাজকরীরা, আমার কাছ থেকে দূর হও; যাতে আমি আমার ঈশ্বরের আদেশ সকল পালন করতে পারি।
116তোমার বাক্যে আমাকে ধরে রাখ যাতে আমি বাঁচি এবং আমাকে আমার আশায় লজ্জিত হতে দিও না।
117আমাকে তুলে ধর এবং আমি উদ্ধার পাব; আমি সব দিন তোমার বিধি ধ্যান করব।
118তুমি তাদের সকলকে অগ্রাহ্য করেছ, যারা তোমার বিধি ছেড়ে চলে গেছে; কারণ সেই সমস্ত লোকেরা প্রতারক এবং অবিশ্বস্ত।
119তুমি পৃথিবীর সমস্ত পাপীদেরকে মলের মত দূর করে থাক, এই জন্য আমি তোমরা ন্যায় বিধান ভালবাসি।
120তোমার ভয়ে আমার শরীর রোমাঞ্চিত হয়, তোমার শাসনকলাপে আমি ভীত।
121অয়িন। যা কিছু ন্যায্য এবং সঠিক আমি করি; আমাকে আমার উপদ্রবকারীদের হাতে ছেড়ে দিও না।
122তুমি তোমার দাসের মঙ্গল নিশ্চিত কর, অহঙ্কারীরা আমার ওপর উপদ্রব না করুক।
123তোমার পরিত্রানের অপেক্ষায় এবং তোমার ধর্মময় বাক্যের জন্য আমার চোখ ক্লান্ত হয়েছে।
124তোমার দাসকে তোমার চুক্তির বিশ্বস্ততা দেখাও এবং আমাকে তোমার বিধি শেখাও।
125আমি তোমার দাস, আমাকে বুদ্ধি দাও, যেন আমি তোমার নিয়মের আদেশগুলো জানতে পারি।
126সদাপ্রভুুর কাজ করবার দিন হল, কারণ লোকেরা তোমার ব্যবস্থা খণ্ডন করেছে।
127সত্যি আমি তোমার আদেশ সকল ভালবাসি, সোনার থেকেও, বিশুদ্ধ সোনার থেকেও ভালবাসি।
128এই জন্য আমি সাবধানে তোমার সমস্ত নির্দেশ অনুসরণ করি এবং আমি সমস্ত মিথ্যার পথ ঘৃণা করি।
129পে। তোমার নিয়মের আদেশ আশ্চর্য্য, এই জন্য আমি সেগুলো পালন করি।
130তোমার প্রকাশিত বাক্য আলো দান করে; তা সরলদের বুদ্ধি দান করে।
131আমি মুখ খুলে শ্বাস ফেলছিলাম, কারণ আমি তোমার আদেশগুলোর আকাঙ্খা করছিলাম।
132আমার দিকে ফের এবং আমায় দয়া কর, যেমন তুমি সব দিন করে থাক তাদের জন্য যারা তোমার নাম ভালবাসে।
133তোমার বাক্য দ্বারা আমার চরণকে পরিচালনা দাও; কোন পাপকে আমার উপরে কর্তৃত্ব করতে দিও না।
134মানুষের উপদ্রব থেকে আমাকে উদ্ধার কর, যাতে আমি তোমার নির্দেশগুলো পালন করতে পারি।
135তোমার দাসের ওপর তোমার মুখ উজ্জ্বল হোক এবং তোমার বিধি সকল আমাকে শেখাও।
136আমার চোখ থেকে জলধারা বইছে, কারণ লোকেরা তোমার ব্যবস্থা পালন করে না।
137সাদে। হে সদাপ্রভুু, তুমি ধার্মিক এবং তোমার আদেশ সকল ন্যায্য।
138তুমি তোমার নিয়মের আদেশ ধার্ম্মিকতায় এবং বিশ্বস্ততায় দিয়েছ।
139রাগ আমাকে ধ্বংস করেছে, কারণ আমার বিপক্ষেরা তোমার বাক্য সকল ভুলে গেছে।

Read গীতসংহিতা 119গীতসংহিতা 119
Compare গীতসংহিতা 119:67-139গীতসংহিতা 119:67-139