Text copied!
Bibles in Bengali

প্রেরিতদের কার্য্য 27:1-25 in Bengali

Help us?

প্রেরিতদের কার্য্য 27:1-25 in ইন্ডিয়ান রিভাইজড ভার্সন (IRV) - বেঙ্গলী

1 যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমরা জাহাজে করে ইতালিয়াতে যাত্রা করব, তখন পৌল ও অন্য কয়েক জন বন্দী আগস্তীয় সৈন্যদলের যুলিয় নামে একজন শতপতির হাতে সমর্পিত হলেন।
2 পরে আমরা আদ্রামুত্তীয় থেকে জাহাজে উঠে যাত্রা করলাম, যে জাহাজটি এশিয়ার উপকূলের সমস্ত জায়গায় যাবে। মাকিদনিয়ার থিষলনীকীর অধিবাসী আরিষ্টার্খ আমাদের সঙ্গে ছিলেন।
3 পরদিন আমরা সীদোনে পৌঁছলাম; যেখানে যুলিয় পৌলের প্রতি সম্মানের সাথে তাহাকে বন্ধুবান্ধবের কাছে নিয়ে গিয়ে যত্ন নেওয়ার অনুমতি দিলেন।
4 পরে সেখান হতে জাহাজ খুলে সামনের দিকে বাতাস হওয়ায় আমরা কুপ্র দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চললাম।
5 পরে কিলিকিয়ার ও পাম্ফুলিয়া শহরের সামনের সমুদ্র পার হয়ে লুকিয়া প্রদেশের মুরা শহরে উপস্থিত হলাম।
6 সেখানে শতপতি ইতালিয়াতে যাচ্ছিল একখানা আলেকজান্দ্রীয় জাহাজ দেখতে পেয়ে আমাদের সেই জাহাজে তুলে দিলেন।
7 পরে অনেকদিন ধীরে ধীরে জাহাজটি চলে অতিকষ্টে ক্লীদ শহরের নিকটে পৌঁছলো, বাতাসের সহযোগিতায় না এগোতে পেরে আমরা সলমোনির সম্মুখ দিয়ে ক্রীতী দ্বীপের আড়াল দিয়ে চললাম।
8 আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে উপকূলের ধার ধরে যেতে যেতে সুন্দর পোতাশ্রয় নামে এক জায়গায় পৌঁছালাম যেটা লাসেয়া শহরের খুবই নিকটবর্তী জায়গা।
9 এই ভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ায় ইহুদীদের উপবাসপর্ব্ব পার হয়ে গিয়েছিল এবং জলযাত্রা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় পৌল তাদের পরামর্শ দিলেন।
10 এবং বললেন, মহাশয়েরা, আমি দেখতে পাচ্ছি যে, এই জলযাত্রায় অনেক অনিষ্ট ও ক্ষতি হবে, তা শুধুমাত্র জিনিসপত্র ও জাহাজের নয়, আমাদেরও প্রাণহানি হবে।
11 কিন্তু শতপতি পৌলের কথা অপেক্ষা ক্যাপ্টেন ও জাহাজের মালিকের কথায় বেশি মনোযোগ দিলেন।
12 আর ঐ পোতাশ্রয়ে শীতকাল কাটাবার জন্য সুবিধা না হওয়ায় অধিকাংশ লোক সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিল যেন কোনোও প্রকারে ফৈনীকা শহরে পৌঁছে সেখানে শীতকাল অতিবাহিত করতে পারে। এই জায়গা ক্রীতীর এক পোতাশ্রয়, এটা উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব অভিমুখী।
13 পরে যখন দক্ষিণ বায়ু হালকা ভাবে বইতে লাগল তখন তারা ভাবলো যে, তারা যা চায় তা পেয়েছে সুতরাং তারা ক্রীতীর কূলের নিকট দিয়ে নোঙ্গর নামিয়ে জাহাজ চলতে লাগল।
14 কিন্তু অল্প দিন পর দীপের উপকূল হতে উরাকুলো (আইলা) নামে এক শক্তিশালী ঝড় আঘাত করতে লাগল।
15 তখন জাহাজ ঝড়ের মধ্যে পড়ে বায়ুর প্রতিরোধ করতে না পারায় আমরা জাহাজটি প্রতিকূলে ভেসে যেতে দিলাম।
16 পরে কৌদা নামে একটি ছোট দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চলে অনেক কষ্টে নৌকাটি নিজেদের বশে আনতে পারলাম।
17 তখন নাবিকরা সেটা তুলে নিয়ে নানা উপায়ে জাহাজের পাশে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলো; আর সুতি নামক চড়াতে গিয়ে যেন না পড়ে তার ভয়ে নোঙ্গর নামিয়ে চলল।
18 আমরা অতিশয় ঝড়ের মধ্যে পড়ায় পরদিন তারা মালপত্র জলে ফেলে দিতে লাগল।
19 তৃতীয় দিনের নাবিকরা তাদের নিজেদের জিনিসপত্র ফেলে দিল।
20 যখন অনেকদিন যাবৎ সূর্য্য এবং তারা না দেখতে পাওয়ায় এবং ভারী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমাদের রক্ষা পাওয়ার সমস্ত আশা ধীরে ধীরে চলে গেল।
21 যখন সকলে অনেকদিন অনাহারে থাকলো, পৌল তাদের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, মহাশয়েরা, আমার কথা মেনে যদি ক্রীতী হতে জাহাজ না ছেড়ে আসতেন তবে এই ক্ষতি এবং অনিষ্ট হতো না।
22 এখন আপনাদের উৎসাহিত করি যে আপনারা সাহস করুন, কারণ আপনাদের কারও প্রাণহানি হবে না কিন্তু শুধুমাত্র জাহাজের ক্ষতি হবে।
23 কারণ আমি যে ঈশ্বরের লোক এবং যাঁর আরাধনা করি, তাঁর এক দূত গত রাত্রিতে আমার কাছে দাঁড়িয়ে বললেন,
24 পৌল, ভয় করো না, কৈসরের সামনে তোমাকে দাঁড়াতে হবে। এবং দেখো, যারা তোমার সঙ্গে যাচ্ছে ঈশ্বর তাদের সবাইকেই তোমায় অনুগ্রহ করেছেন।
25 অতএব মহাশয়েরা সাহস করুন, কারণ ঈশ্বরে আমার এমন বিশ্বাস আছে যে, আমার নিকটে যেমন বলা হয়েছে তেমন হবে।
প্রেরিতদের কার্য্য 27 in ইন্ডিয়ান রিভাইজড ভার্সন (IRV) - বেঙ্গলী