5 কিন্তু ফরীশী দল হইতে কয়েক জন বিশ্বাসী দাঁড়িয়ে বলতে লাগল, তাদের ত্বকছেদ করা খুবই প্রয়োজন এবং মোশির নিয়ম সকল পালনের নির্দেশ দেওয়া হোক।
6 সুতরাং প্রেরিতরা ও প্রাচীনরা এই সকল বিষয় আলোচনা করার জন্য একত্রিত হলো।
7 অনেক তর্কযুদ্ধ হওয়ার পর পিতর উঠে দাঁড়িয়ে তাদের বললেন হে ভাইগণ, তোমরা জানো যে, অনেকদিন আগে ঈশ্বর তোমাদের মধ্যে আমাকে মনোনীত করেছেন, যেন আমার মুখ থেকে অযিহূদীরা সুসমাচারের বাক্য অবশ্যই শুনে এবং বিশ্বাস করে।
8 ঈশ্বর, যিনি হৃদয়ের অন্তঃকরণ জানেন, তিনি তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আমাদের যেমন, তাদেরকেও তেমনি পবিত্র আত্মা দান করেছেন;
9 এবং আমাদেরও তাদের মধ্যে কোনোও বিশেষ পক্ষপাতিত্ব রাখেননি, বিশ্বাস দ্বারা তাদের হৃদয় পবিত্র করেছেন।
10 অতএব এখন কেন তোমরা ঈশ্বরের পরীক্ষা করছো, শিষ্যদের ঘাড়ে সেই যোঁয়ালী কেন দিচ্ছ, যার ভার না আমাদের পূর্বপুরুষেরা না আমরা বইতে পারি।
11 কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি তারা যেমন, আমরাও তেমনি প্রভু যীশুর অনুগ্রহ দ্বারা পরিত্রান পাবো।
12 তখন সকলে চুপ করে থাকলো, আর বার্ণবার ও পৌলের মাধ্যমে অযিহুদিদের মধ্যে ঈশ্বর কি কি চিহ্ন-কার্য্য ও অদ্ভুত লক্ষণ সাধন করেছেন, তাঁর বিবরণ তাদের কাছ থেকে শুনছিল।
13 তাদের কথা শেষ হওয়ার পর, যাকোব উত্তর দিয়ে বললেন, হে ভাইয়েরা আমার কথা শোনো।
14 ঈশ্বর নিজের নামের জন্য অযিহূদীর মধ্য হইতে একদল মানুষকে গ্রহণের উদ্দেশ্যে কিভাবে প্রথমে তাদের আশীর্বাদ করেছিলেন, তা শিমোন ব্যাখ্যা করলেন।
15 আর ভবিষ্যৎ বক্তাদেরর বাক্য তাঁর সঙ্গে মেলে, যেমন লেখা আছে,
16 এই সবের পরে আমি ফিরে আসব, দাউদের পড়ে থাকা ঘর আবার গাঁথব, সব ধ্বংসস্থান আবার গাঁথব এবং পুনরায় স্থাপন করব,
17 সুতরাং, অবশিষ্ট সব লোক যেন প্রভুকে খোঁজ করে এবং যে জাতিদের উপর আমার নাম কির্ত্তিত হয়েছে, তারা যেন সবাই খোঁজ করে।