13এবং শহরের সামনে দ্যুপিতরের যে মন্দির ছিল, তার যাজক (পুরোহিত) কয়েকটা ষাঁড় ও মালা নিয়ে শহরের মূল দরজার সামনে লোকেদের সঙ্গে বলিদান করতে চাইল।
14কিন্তু প্রেরিতরা, বার্ণবা ও পৌল, একথা শুনে তাঁরা নিজের বস্ত্র ছিঁড়লেন এবং দৌড়ে বাইরে গিয়ে লোকেদের উদ্দেশ্যে বললেন,
15মহাশয়েরা, আপনারা এমন কেন করছেন? আমরাও আপনাদের মত সম সুখদুঃখভোগী মানুষ; আমরা আপনাদের এই সুসমাচার জানাতে এসেছি যে, এই সব অসার বস্তু থেকে জীবন্ত ঈশ্বরের কাছে আসুন, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র, ও সমুদ্রের মধ্যে যা কিছু আছে সে সমস্তই সৃষ্টি করেছেন।
16তিনি অতীতে পুরুষ পরম্পরা অনুযায়ী সমস্ত জাতিকে তাদের ইচ্ছামত চলতে দিয়েছেন;
17কিন্তু তবুও তিনি নিজেকে প্রকাশিত রাখলেন, তিনি মঙ্গল করেছেন, আকাশ থেকে আপনাদের বৃষ্টি এবং ফল উৎপন্নকারী ঋতু দিয়ে ফসল দিয়েছেন ও আনন্দে আপনাদের হৃদয় পরিপূর্ণ করেছেন।
18এই সব কথা বলে পৌল এবং বার্ণবা অনেক কষ্টে তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করা থেকে লোকেদের থামালেন।
19কিন্তু আন্তিয়খিয়া ও ইকনিয় থেকে কয়েক জন যিহূদী এলো; তারা লোকেদের ইন্ধন দিল এবং লোকেরা পৌলকে পাথর মারলো এবং তাঁকে শহরের বাইরে টেনে নিয়ে গেল, কারণ তারা মনে করল, তিনি মারা গেছেন।